সোমবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ তে আক্রান্ত হয়েছে ৯৬,৫১৭ জন ।এই সংখ্যাটি গত বছরের এই তারিকে যে ১ লক্ষ্য লোক সংক্রমিত হয়েছিল তার থেকে কিছুটা কম । বর্তমানে ভারতের টোটাল এক্টিভ কেস হচ্ছে ১ কোটি ২৬লক্ষ্য ৮৪ হাজার ৪৭৭টি ।এই সপ্তাহের প্রথম দিকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি মিটিং করেছিল ।গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছিলেন এই নিয়ে ,এবং বেড়ে যাওয়ার তিনটি প্রধানকারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ।ওই মিটিংয়ে দেশের ১০ টি রাজ্য সমন্ধে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করা হয় ।যেই ১০ টি রাজ্যে তুলনামূলক ভাবে বেশি করোনা রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন ।ওই মিটিং য়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন করোনার প্রকোপ দেশে বাড়ছে মূলত ভারতবাসীর করোনার প্রতি উদাসীনতার জন্য । বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্যকরেছেন ভারত বাসীর মধ্যে মাস্ক পরার প্রচন্ড অনীহা দেখা যাচ্ছে ,দূরত্ববিধি মানা এবং সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া এই আশু কর্তব্যগুলির ব্যাপারে তারা ক্রমশ উদাসীন হয়ে যাচ্ছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে প্রার্থমিক গাইড লাইন তা অনেকেই মানছেন না ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন” দ্বিস্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করো যাতে তোমার নাক ,মুখ এবং গাল সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে “, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে দুই গজের দূরত্ব সম্মন্ধেযে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল তাও মানছেন না ভারতবাসী । হাঁটার সময়েও দুই ব্যক্তির মধ্যে ৪-৫ মিটারের দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছিল সেটাও মানা হচ্ছে না ।শ্লো এবং ফাস্ট বাইকিংয়ের ক্ষেত্রে ১০-২০ মিটারের দূরত্ব রাখার কথা বলা হয়েছিল তাও মানা হচ্ছে না ।আজকে কেন্দ্রীয়
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ১১টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে নিয়ে মিটিংয়ে বসবেন করোনা পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে । আশ্চর্য্যজনক ভাবে গত ২৫ দিনেরমধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন ২০ হাজারের থেকে বেড়ে ১ লক্ষ্য পার হয়ে গিয়েছে ।গত সেপ্টেম্বর ২০২০ তে ভারতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল ৯৭,৮৯৪।সেটাও আজকে পার করে ১০৩,০০০ পৌঁছে গেলো দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ।মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়ালো ১,৬৫,১০১ য়ে ।মারাত্বক অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র ,পাঞ্জাব ,হরিয়ানা ,হিমাচল ,ঝাড়খন্ড ,কর্ণাটক ,মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান মত রাজ্যগুলি ।