SC, ST, OBC-র রিজার্ভেশন বাতিল নিয়ে রাহুল গান্ধীর বড় মন্তব্য ! এই দিকে কংগ্রেসের ট্র্যাক রেকর্ড উদ্বেগের কারণ ?

লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে একটি বক্তৃতার সময় ভারতের রিজার্ভেশন নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ভারতে রিজার্ভেশনের ভবিষ্যত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “ভারতে আমাদের সরকার আসলে যথা যোগ্য সময়ে আমরা সংরক্ষণ বাতিল করার কথা ভাবব ” রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যটি ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত করেছে।

ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী আমেরিকায় বিভিন্ন বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন আলোচনায় যোগদান করেছে। রাহুল গান্ধীর আমেরিকায় যাওয়া মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না ভারতের বুদ্ধিজীবীরা। কারন আমেরিকা ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার প্রতিস্থাপন করেছে। আর ভারতের বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন রাহুল গান্ধীকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকা ভারতে তাদের পছন্দের সরকার প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছে। আর রাহুল গান্ধী আমেরিকার হাতের পুতুল হিসাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর যার ফলেই রাহুল গান্ধীকে আমেরিকায় ডেকে পাঠিয়েছে আমেরিকার বর্তমান সরকার।

ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী আমেরিকায় বিভিন্ন ভারত বিরোধী সংগঠন ও ভারত বিরোধী মানুষের সাথে কথা বলেছেন। আমেরিকার সাংসদ ইলান ওমার , যিনি আফ্রিকান আমেরিকান। তিনি ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এসেছিলেন আর সেখানে এসে ভারত বিরোধী মন্তব্য করেছেন তিনি। আর সেই ভারত বিরোধী মন্তব্য করা ইলান ওমারের সাথে রাহুল গান্ধী বৈঠক করেছেন। এছাড়া আমেরিকায় যে সকল মানুষ ও গোষ্ঠী বিভিন্ন ভারত বিরোধী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত তাদের সাথে রাহুল গান্ধী দীর্ঘ বৈঠক করেছেন । এমনকি এক ইন্টারভিউতে আমেরিকা বসে রাহুল গান্ধী বলেন তাদের সরকার ভারতে আসলে তারা যথাযোগ্য সময়ে ভারতের থেকে রিজার্ভেশন সরিয়ে নেবেন। আর এই রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি সরকারের উপরে আরোপ লাগাচ্ছিলেন যে বিজেপি সরকার যদি ৪০০র বেশি আসন পায় তাহলে বিজেপি সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে দেবে আর দেশ থেকে রিজার্ভেশন শেষ করে দেবে।

 

তবে বর্তমান সময়ে ভারত বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বৈশ্বিক শক্তির কেন্দ্র হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।  ভারতের অর্থনীতি দিনের পর দিন এগিয়ে চলেছে। ভারতের উন্নয়নের গতি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর যা দেখে পশ্চিমা দেশ গুলি স্বভাবতই ভারতের এই উন্নয়নে মোটেও খুশি নয়। কারণ এই ভারতের উপরেই তারা একদিন রাজত্ব করেছিল। আর সেই ভারত আজ তাদের সাথে টেক্কা দেওয়ার জন্য এগিয়ে চলেছে। আর তাই এই পশ্চিমা দেশগুলি ভারতের বিরোধী দল গুলির সহায়তায় ভারতের এই উন্নয়নের গতিকে থামানোর চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কারণ বিগত ৭০ বছরে কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলি ভারতের উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তারা শুধু জাত-পাতের রাজনীতি রিজার্ভেশন দিয়ে মানুষের ভোট নেওয়ার কাজ করেছে। কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকার উন্নয়নের রাজনৈতিক করছে আর যা মোটেও শুট করে না কংগ্রেস সহ তার সহযোগী দলগুলিকে। তাই আমেরিকার মতন ভারত বিরোধী দেশ গুলি কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলির সাহায্যে ভারতে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই চেষ্টায় রাহুল গান্ধীকে তথা কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলিকে মোহরা হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে পশ্চিমা দেশ গুলি।

কংগ্রেসের ট্র্যাক রেকর্ড: উদ্বেগের কারণ ?

তবে কংগ্রেসের ট্রাক রেকর্ড উদ্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এই কংগ্রেস বিভিন্ন সময় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ করেছে। এই কংগ্রেসের আমলেই চীন ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছে। আর রাহুল গান্ধী আমেরিকায় বসে বলছেন যে চীন দিল্লির মতন এরিয়া থেকে দখল করে রেখেছে, আর তিনি এটা বলতে ভুলে গিয়েছেন যে কংগ্রেসের রাজত্বেই চীন তা দখল করেছে । কংগ্রেসের রাজত্বকালেই ভারতের অর্থনীতির অবনতি দেখা গিয়েছিল।

২০০৪ সালের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থনীতি বিভিন্ন দুর্নীতি দেখেছে। কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি,  ২জি দুর্নীতির মতন একাধিক দুর্নীতি দেশ দেখেছে। বিগত ৩০ বছরে কংগ্রেস সরকারের রাজত্বকালে একাধিক দুর্নীতি সামনে এসেছে। এমনকি কংগ্রেসের রাজত্বকালে এই দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এই কংগ্রেসের রাজত্বকালেই পাকিস্তানের আতংবাদীরা ভারতের ভিতর হামলা করতে দ্বিধাবোধ করত না, কারণ কংগ্রেসের সরকারের মানসিকতাই ছিল না যে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার যায়। কারণ পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার যেই মানসিকতা তা কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যেই ছিল না। কারণ তারা তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে। তারা মুসলিম ভোটের রাজনীতি করে। তাই মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক যদি ক্ষুদ্ধ হয় সেই ভয়ে কংগ্রেস সরকার পাকিস্তানের উপর পদক্ষেপ নিতে ভয় পেত।

এমনকি কংগ্রেস সরকারের আমলে ওয়াক্তবোর্ডকে এতটা ক্ষমতা দেওয়া হয় যে তারা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের থেকেও বেশি ক্ষমতাশীল হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে তারা দেশের যেকোনো জমিকে নিজের জমি হিসাবে দাবি করতে পারে। আর সেই দাবির পক্ষে ওয়াক্তবোর্ডকে কোন প্রমাণ দেওয়ার দরকার নেই কিন্তু যার জমির উপর ওয়াক্তবোর্ড দাবি করবে তাকে প্রমাণ দিতে হবে যে সেই জমি ওয়াক্তবোর্ডের নয়, সেই জমি তার নিজের। ফলে মুসলিম তোষণের যেই পর্যায়ে কংগ্রেস পৌঁছে গিয়েছিল তার থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ আজ বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে।

এমনকি কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর বিভিন্ন ভারত বিরোধী মন্তব্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের সমালোচনা করার জন্য ব্যবহার করেছে। ফলে রাহুল গান্ধী ভারতের নেতা হয়েও তিনি বিভিন্ন ভারত বিরোধী কার্যকলাপের সাথে বিভিন্ন সময় যুক্ত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা নিজেদের রাজনীতির কথা ভাবেন, নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভাবেন, তারা দেশের উন্নয়নের কথা ভাবেন না তারা দেশের সাধারন মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেন না।